https://www.facebook.com/share/v/S6Ye79q5GTkLxE3T/?mibextid=oFDknk
কোরবানির ঈদ মানেই আনন্দ, খুশি আর প্রিয়জন ও গরীব দুঃখীদের সাথে ভাগাভাগি করে খাওয়া। কিন্তু এই খুশি যেন বিপদের কারন না হয়, সেজন্য মাংস নিরাপদে রাখা ও কিভাবে খাবেন তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
নিয়ম আর সচেতনতার মাধ্যমে খুব সহজেই কোরবানির মাংস সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারি। আসুন জেনে নেই কীভাবে।
কোরবানির মাংস প্রসেস করার পর দ্রুত আলাধা করে পাত্রে রেখে কিচেনের রেকে আটকে রাখতে পারেন। এতে মাছি বা অন্য ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
পরিস্কার রক্ত, চর্বি ও অপ্রয়োজনীয় অংশ সরিয়ে ভালোভাবে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। তবে বেশিক্ষণ বাইরে রাখা যাবে না—কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বেড়ে যায়।
কোরবানি দেওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে মাংশ ফ্রিজে রাখা উচিত। ফ্রিজের তাপমাত্রা অবশ্যই ৫°C বা তার নিচে রাখতে হবে।
তবে দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখার জন্য ফ্রিজারের তাপমাত্রা মাইনাস/বিয়োগ ১৮°C বা তার কম রাখতে হবে। মাংস ছোট ছোট প্যাকেটে ভাগ করে পলিথিন বা ফুড গ্রেড ব্যাগে রাখতে পারেন। এবং তারিখ লিখে রাখলে ব্যবহার করতে সুবিধা হয়।
যদি বিস্তারিতভাবে ফ্রিজে রাখা, ফ্রিজ থেকে বের করা ও রান্নার নিয়মগুলো ভিডিওতে দেখতে চান, তবে এই ভিডিও লিংকে ক্লিক করুন। নিউজ আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে ভিডিওতে।
মাংস ফ্রিজ থেকে বের করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। রান্নার সময় অবশ্যই ভালোভাবে সিদ্ধ করুন। রান্না হয়ে গেলে পরিবেশন করুন বা ফ্রিজে রাখতে পারেন। তবে ফ্রিজে রাখলে অবশ্যই গরম মাংশ রাখবেন না!
একবার ফ্রিজ থেকে মাংস বের করলে সেটা পুরোপুরি রান্না করুন। বাকি মাংশ ফ্রিজে রাখবেন না। এতে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে খাবার নষ্ট হতে পারে। এ নিয়ম শুধু কোরবানির মাংসের জন্য নয়, যেকোনো মাংসের জন্যই অনুসরন করুন।
ফ্রিজের মাংস রান্নার আগে অবশ্যই বাইরে বের করে নরমাল করে রান্না করতে হবে। আর রান্না করা খাবার আবার গরম করলে অবশ্যই সম্পুর্ণ গরম করতে হবে। তবে এক খাবার বারবার গরম না করাই ভালো।
বয়স্ক বা শিশুরা যেন বেশি চর্বিযুক্ত মাংস না খায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। রান্না ও খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ধোয়ার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
নিরাপদ কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করার মাধ্যমে পরিবারের সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখা যায়। তাই সঠিক ভাবে এবং সময়মতো ফ্রিজে রাখা, সঠিক তাপমাত্রা নিশ্চিত করা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য সতর্কতায় ঈদ হবে আরও আনন্দময়, নিরাপদ ও সুন্দর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস