জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জানতে ক্লিক করুন
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন সেবা পাওয়ার মাধ্যম
১।অনলাইনঃ
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ক্ষেত্রে এই লিংকে প্রবেশ এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করুন।
অনলাইন লিংক ( এখানে Click করুন )।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ক্ষেত্র অনুযায়ী ফরম ডাউনলোড করতে এখানে Click করুন
২।অফলাইনঃ
নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা হলো
১। নিজ নামের বানানে ভুল থাকলে
***PSC/JSC/SSC এর সার্টিফিকেট না থাকলে
২। পিতা-মাতার নামে বানান ভুল থাকলে
৩। জন্ম তারিখ ভুল থাকলে
***PSC/JSC/SSC এর সার্টিফিকেট না থাকলে
*** বয়স সংশোধন ৫ বছরের বেশি হলে
৪। স্বামী বা স্ত্রীর নামে সংশোধন এবং সংযুক্তির ক্ষেত্রে
*** নতুন বিবাহিতদের ক্ষেত্রে
***তালাকপ্রাপ্ত হলে
৫। রক্তের গ্রুপ সংযুক্তির ক্ষেত্রে
৬। মোবাইল নং সংযুক্তির ক্ষেত্রে
৭। ঠিকানা সংশোধনের ক্ষেত্রে
বিঃদ্রঃ উপরোক্ত দলিলাদির ফটোকপির ক্ষেত্রে অবশ্যই গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করে দিতে হবে
৮। ভোটার এলাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে
৬ অক্টোবর, জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস। নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
এ বিষয়ে জনসাধারণকে উৎসাহিত করতে ২০২১ সালের ৯ আগস্ট মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ৬ অক্টোবরকে 'জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস' ঘোষণা করে সরকার।
১৮৭৩ সালের ২ জুলাই ব্রিটিশ সরকার অবিভক্ত বাংলায় জন্ম নিবন্ধন-সংক্রান্ত আইন জারি করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ৯ আগস্ট, " প্রতিবছর ৬ অক্টোবর" দিনটিকে 'জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস' হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
বর্তমানে এ নিবন্ধনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে কিছু নামমাত্র ফি নেওয়া হয়। জন্ম অথবা মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করালে ২৫ টাকা এবং এর পরে নিবন্ধন করালে ৫০ টাকা ফী পরিশোধ করতে হয়। তবে, অনলাইন আবেদন এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আবেদনের ক্ষেত্রে এই ফির পরিমাণ ভিন্ন।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে মানুষের পরিচয় নিশ্চিত হয় এবং এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পেতে সুবিধা হয়। তবে, এখনও অনেক মানুষ এই বিষয়ে উদাসীন।
* পরিচয় নিশ্চিতকরণ: জন্ম নিবন্ধন একটি শিশুর জন্মের পর তার প্রথম এবং একমাত্র পরিচয়পত্র। এটি তার নাগরিকত্বের প্রমাণ। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে একজন মানুষের বিস্তারিত পরিচয়বাচক তথ্য জানা যায়।
* শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা: বিদ্যালয়ে ভর্তি, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হয়।
* সরকারি সুবিধা: বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা, যেমন - ভাতা, বৃত্তি পেতে জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক।
* বাল্যবিবাহ রোধ: বাল্যবিবাহ রোধে জন্ম নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
* উত্তরাধিকার: সম্পত্তি ও অন্যান্য বিষয়ে উত্তরাধিকার নির্ধারণের জন্য মৃত্যু নিবন্ধন অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
* সরকারি হিসাব: মৃত্যু নিবন্ধন সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে।
* সামাজিক সুরক্ষা: মৃত্যু নিবন্ধন, মৃত ব্যাক্তির পরিবারের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
* অনলাইনে আবেদন: বর্তমানে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের আবেদন করা যায়।
* ইউনিয়ন পরিষদ: এছাড়াও, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়েও আবেদন করা যেতে পারে।
আমাদের করণীয়:
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও সহজ ও সরল করতে হবে। এই বিষয়ে সরকারি উদ্যোগ ও প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা আরও বাড়াতে হবে।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন একটি নাগরিক দায়িত্ব। এই বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হলে তা বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
Think Bengal-এর মাধ্যমে মাতৃভাষায় গুরুত্বপূর্ণ খবর সহজেই পেতে পারেন। সর্বশেষ বাংলা সংবাদ, খেলাধুলা, বিনোদন, ব্যবসা ও বিজ্ঞানের খবরের জন্য তাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস